আমরা যারা অনলাইন পেশাতে ( যেমনঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং অথবা Upwork, iWriter বা Fiverr এর মত বিভিন্ন অনলাইন সার্ভিসিং সাইটগুলোতে কাজ ) যুক্ত তাদের দৈনন্দিন কাজের একটা অংশ হলো অনলাইনে টাকা বা ডলার এর আদান-প্রদান করা। অনলাইনে ডলার এর আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে আমাদের মনে প্রথমেই যে দুটি নাম আসে তা হলো পেওনিয়ার এবং পেপাল। যেহুতু পেপালের সার্ভিস তালিকায় বাংলাদেশ এখনো যুক্ত হয়নি আসুন জেনে নেই পেওনিয়ার এ রেজিষ্ট্রেশন করার প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে ডলার জমা করা, উত্তোলন করা এবং এর বিভিন্ন সুবিধাদি।
পেওনিয়ার মাষ্টার কার্ড কি?
Payoneer হচ্ছে New York ভিত্তিক একটি আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান যারা বিশ্বস্ততা ও দ্রুততার সাথে অনলাইনে অর্থ স্থানান্তর ও ই-কমার্স সেবা দিয়ে থাকে। ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ২০০ টি দেশে Payoneer ব্যবহৃত হচ্ছে।
Payoneer তাদের ব্যবসা প্রসারের জন্য Refer a Friend প্রোগ্রামের মাধ্যমে ফ্রী রেজিষ্ট্রেন করার পর কার্ড পাঠানোর ব্যবস্থা করে থাকে এবং ২৫ ডলার বোনাস প্রদান করবে। একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসাবে তাহারা চেষ্টা করে থাকে শুধু মাত্র তাহারা-ই এই Refer a Friend প্রোগ্রামের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রেন করুক যারা নিয়মিত অনলাইনে আদান-প্রদান করে থাকেন। তাই উক্ত ২৫ ডলার বোনাস পেতে আপনাকে আমেরিকার যেকোন কোম্পানী থেকে বা বিভিন্ন অনলাইন সার্ভিসিং সাইটগুলো থেকে আপনার একাউন্টে প্রথম ১০০ ডলার জমা করতে হবে। তাই যারা অনলাইন পেশাতে জড়িত নন তাদের জন্য রেজিষ্ট্রেশন না করাই ভালো। শুধু শুধু কার্ড এনে দেশের ক্ষতি করবেন না ও রেপুটেশন নষ্ট করবেন না।
Payoneer একাউন্ট ও তার মাষ্টার কার্ডটি আপনি যে যে কাজে ব্যবহার করতে পারবেনঃ
- বিদেশী বা দেশী যে কোন মানুষ যারা Payoneer এর সার্ভিস ব্যবহার করে আপনাকে আপনার কাজের অর্জিত টাকা/ডলার দিতে ইচ্ছুক তাদের কাছ থেকে টাকা/ডলার নিতে পারবেন।
- বিদেশী বা দেশী যে কোন মানুষ যারা Payoneer এর সার্ভিস ব্যবহার করে আপনাকে আপনার তৈরী পন্যের মূল্য দিতে ইচ্ছুক তাদের কাছ থেকে টাকা/ডলার নিতে পারবেন।
- আপনার একাউন্টে জমাকৃত ডলার দিয়ে অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারবেন বা যে কোন সার্ভিসের মূল্য প্রদান করতে পারবেন।
- আন্তর্জাতিক মাষ্টার কার্ড সাপোর্ট করে এমন যে কোন এটিএম বুথ থেকে আপনার একাউন্টে জমাকৃত ডলারকে টাকাতে রুপান্তর করে উত্তোলন করতে পারবেন। বাংলাদেশের ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ইসলামি ব্যাংক, ষ্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংক সহ আরো অনেক ব্যাংকের বেশীরভাগ এটিএম বুথগুলো আন্তর্জাতিক মাষ্টার কার্ড সাপোর্ট করে।
- Payoneer একাউন্টের সাথে বাংলাদেশী যে কোন ব্যাংকের সাথে যুক্ত করে Payoneer এ জমাকৃত সকল ডলার সরাসরি আপনার বাংলাদেশী ব্যাংক একাউন্টে নিয়ে আসতে পারবেন।
পেওনার মাষ্টার কার্ডের জন্য কিভাবে আবেদন করবেন?
প্রথম ধাপঃ সাইনআপ
সাইনআপ করার জন্য নিচের বাটনটিতে ক্লিক করুন এবং ওপেন করে সাইনআপ বাটনের উপর মাউসের ডান বোতাম চেপে “ওপেন লিংক ইন নিউ উন্ডোতে” ক্লিক করে যথাযথ তথ্য প্রদান করুন।
এরপর ২য় ধাপ ও ৩য় ধাপ এর তথ্যগুলো যথাযথভাবে প্রদান করে চেকবক্স গুলোতে টিক মার্ক দিয়ে ওকে করুন।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শেষ হলে ৪৮ ঘন্টার মধ্য জানিয়ে দিবে আপনাকে ওরা মাষ্টার কার্ড দিবে কিনা । যদি এ্যাপ্রোভ হয় তবে আমেরিকায় থাকলে দশ দিন ও আমেরিকার বাইরে ২৫ দিনের মধ্য পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিবে । আমি অবশ্য ২৫ দিনের মাথায় পেয়েছি । পোষ্টমাষ্টার কে বলে রাখলে ভাল হবে।
কার্ডটি হাতে পেলে Payoneer এ্যাকাউন্ট লগইন করুন এবার কার্ড এ্যাকটিভেট ক্লীক করুন। কার্ডের সাথে কাগজে দিক নির্দেশনা দেয়া থাকবে কিভাবে চালু করতে হবে। আগে কার্ড নাম্বার প্রবেশ করুন তারপর আপনার পছন্দ মত চার সংখ্যার পিন নাম্বার দিন এবার চালু বাটনে ক্লীক করলেই কার্ড চালু। পিন নাম্বার মনে রাখা জরুরী কারন এটিএম থেকে টাকা তুলতে গেলে এই পিন নাম্বারটি দিতে হবে। এবার আপনার ড্যাশবোর্ডে চালু হয়েছে কিনা কনর্ফাম ম্যাসেজ আসবে । এই কার্ড দিয়ে পূথিবীর যেকোন ডেভিড বুথ থেকে টাকা উঠানো যাবে।
যথাযথ ভাবে উপরের ষ্টেপগুলো সম্পাদন করতে পারলে কোন প্রকার সমস্যা হবে না আশাকরি, যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে এই পোষ্টের কমেন্টে তা জানাতে পারেন।
ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন!